কিডনি নষ্ট হওয়ার কারণ কী | কিডনি রোগের কারন | কিডনি রোগের প্রতিরোধ | Kidney Damage
কিডনি মানবদেহের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। তাই কিডনিকে আমাদের শরীরের পরিশুদ্ধির অঙ্গ বলা চলে। কিডনি অকেজো হলে শরীরে দূষিত পদার্থ জমে যায়, ফলে নানা রকম উপসর্গ দেখা দেয়। কিডনির কোনো সমস্যা হলে অবশ্যই ভয়ের কারণ রয়েছে, তবে চিকিৎসার মাধ্যমেও কিডনির রোগ নিরাময় করা সম্ভব, এবং কিছু পদক্ষেপ নিলে কিডনি রোগের প্রতিরোধ ও সম্ভব।
কিডনি রোগের মধ্যে সবচেয়ে জটিলতম হলো দুটি কিডনি নষ্ট হয়ে যাওয়া। এ রোগকে সাধারণত দুই ভাগে ভাগ করা হয়।
১. আকস্মিক বা একিউট কিডনি ফেইলিউর।
২. দীর্ঘমেয়াদি বা ক্রনিক কিডনি ফেইলিউর।
হঠাৎ করে কিডনি আক্রান্ত হয়ে তার কার্যক্ষমতা নষ্ট হলে, তাকে বলে একিউট কিডনি ফেইলিউর। সময় মতো যথাযথ চিকিৎসার মাধ্যমে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তা নিরাময় যোগ্য।
অন্যদিকে ধীরে ধীরে, মাস বা বছরের মধ্যে কিডনির কার্যক্ষমতা হারালে তাকে বলে ক্রনিক কিডনি ডিজিস বা দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগ। একবার এ অবস্থা হয়ে গেলে সাধারণ চিকিৎসায় পুরোপুরি ভালো হয় না, তবে নিয়ন্ত্রণযোগ্য। আরও বেশি জটিলতা হলে ডায়ালাইসিসের দরকার হয়, এমনকি কিডনি প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন হতে পারে।
আকস্মিক কিডনি নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণ গুলি হলো।
অতিরিক্ত ডায়রিয়া, বমি বা মাত্রাতিরিক্ত ঘামের মাধ্যমে শরীরে পানিশূন্যতা, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ, বিভিন্ন ধরনের ব্যথানাশক ওষুধ ও অ্যান্টিবায়োটিক ইত্যাদির মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারে আকস্মিক কিডনি বিকল হতে পারে।
পাশাপাশি নেফ্রাইটিস বা জীবাণুজনিত ইনফেকশন, সেপটিক শক, ডেঙ্গু জ্বর, ফ্যালসিপেরাম ম্যালেরিয়া এবং গর্ভকালীন জটিলতায়ও আকস্মিক কিডনি রোগের কারণ।
দীর্ঘমেয়াদি কিডনি নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণ গুলি হলো।
অনিয়ন্ত্রিত দীর্ঘ দিন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপের জন্য, ক্রনিক নেফ্রাইটিক সিনড্রম, ধূমপান, অতিরিক্ত ওজন, বংশগত কারন, এবং দীর্ঘদিন ধরে ব্যাথার ঔষধ সেবন করলে দীর্ঘমেয়াদি কিডনি নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
No comments